মিয়ানমারের রাখাইন থেকে চলে আসা অসহায় মানুষের জন্য উখিয়া ও টেকনাফের ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ব্র্যাক ৩৯২টি নলকূপ স্থাপন করেছে। এই সেবার আওতায় পড়বেন ১ লক্ষ ৩৫২ জন মানুষ। ৩০ হাজার ৬০০ মানুষের ব্যবহারের জন্য ৭৬৫টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ১৫ হাজার ল্যাট্রিন ও এক হাজার একশ বিশটি টিউবওয়েল বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে ব্র্যাকের।
সারা দেশ থেকে একত্র হওয়া ব্র্যাকের চার শতাধিক জন কর্মী সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত নারী ও শিশুদের জন্য জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, টিউবওয়েল এবং শৌচাগার স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি, পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত উপকরণ সরবরাহ ও শিশুবান্ধব পরিসর গড়ে তোলায় কাজ করছেন তারা। এই কার্যক্রম চলছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম), ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি, অসএইড, ডিএফআইডি এবং গ্লোবাল ফান্ডের সমন্বয় ও সহযোগিতায়।
প্রথমদিকে ৫ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করলেও গতকাল মঙ্গলবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ব্র্যাক ৩৯২টি নলকূপ স্থাপন করেছে। এই সেবার আওতায় পড়বেন ১ লক্ষ ৩৫২ জন মানুষ। ৩০ হাজার ৬০০ মানুষের ব্যবহারের জন্য ৭৬৫টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ১৫ হাজার ল্যাট্রিন ও এক হাজার একশ বিশটি টিউবওয়েল বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে ব্র্যাকের।
এ পর্যন্ত ৫৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৭০৩ জন রোগীকে। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর এবং অন্যান্য রোগের সেবা দেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার ৯৯২ জনকে। ইতিমধ্যে ২৬০ জনের যক্ষ¥া পরীক্ষা করে ১৭ জনের রোগ সনাক্ত হয়েছে। ১ হাজার ৪৫১ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হলেও ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যায়নি। ৯৫৪ প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১০টি ম্যাটারনিটি সেন্টার খোলা হবে।
আশ্রয়ের খোঁজে যারা এসেছে তাদের অর্ধেকেরও বেশি শিশু। তাই এদেরকে মানসিক চাপ কমাতে ইতিমধ্যে ২৪টি শিশুবান্ধব কেন্দ্র স্থাপন করে সাত হাজারেরও বেশি শিশুকে খেলাধুলা ও গল্প বলার মাধ্যমে বিনোদনমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক। শিশুদের মাঝে পুষ্টিকর বিস্কুটও বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্র্যাকের ঊর্ধ¦তন কর্মকর্তারা নিয়মিত উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির পরিদর্শন ও সহায়তা কার্যক্রম তদারক করছেন।